সে আমায় মন দিয়ে বোঝায় কিভাবে
ধারাবর্ণনা করে সে তার শব্দহীন লিরিক
সে আমার আঙ্গুলে আঙ্গুলে আঁকে
চড়া দামের উচঁনিচু ব্রেইল তাতে বেহালারা নেপথ্যে বাজছিলো
তার নিজস্ব প্রজেক্টরে দেখায় বিস্তারিত সব
যা কিছু আমি দেখিনা শতভাগ কর্ণিয়া নিয়ে..
১লা বৈশাখ সমেত ঝড়ের বিরতি
এক মঞ্চায়নে আমি তারে শুনে নেই দীর্ঘকবিতায়,
দেখে ফেলি নির্মম তার মমতামাখা দৃষ্টিহীনতা।
অত"পর ..............
তার চোখেরা কুঠিবাড়ীর ওপর আলো ফেলে এঁকে গেছে পেন্সিল স্কেচ।
আমি কেন শুধু তার চোখে আলো ফেলেও
উদ্ধার করতে পারিনি মহড়ারত লুপ্তাক্ষর।
আলমারি খোলা পেয়েই তাতে ঢুকে পড়েছি ,আহ। সারাক্ষণ বন্ধ থাকা কিছুকে আচমকা খোলা দেখতে দারুণ লাগে তা ছোট থেকেই বুঝেছি।
সাবধানে ড্রয়ার খুলতেই চট করে বেরিয়ে এলো লুকানো মন্ত্রণালয়।
শুরু হলো চারকোনা বায়োস্কোপ।
খামের ভেতর থেকে বেরিয়ে এলে ঝাঁকড়া চুলের পুরোনো তন্বী তুমি।কিছু সাদা কালো কিছু রঙ্গীন । কি সুন্দর তোমাকে দেখতে মা। এরকম খোলামেলা রাতপোশাকটি দিনে কখনও দেখিনি।
আরেকটি ছবিতে চেনাঅচেনা নারীরা পোশাকহীন অবয়বে বড় সুখী ভঙ্গীতে আয়নায় তাকিয়ে ছিলেন, যাতোটা সুখী তাদের পোশাকসহ দেখাতো না।
একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি পাতাল্পুরীর মাণিক্যথেকে। এসব বড়দের ছবি দেখতে নেই।আমার তখন সদ্য গোফ উঠবে উঠবে অবস্থা।
বায়োস্কোপ চলছে।
পরের দৃশ্যে আমার হাতে উঠে এসেছে একটা মরা চ্যাপ্টা গন্ধহীন ফুল। কেউ দিয়েছিলো নাকি তুমিই কাউকে দেবার জন্য রেখে রেখে শুকিয়ে ফেলেছো তা বোঝা গেলোনা। ফুলার রোডের বাড়িতে সেসময় তিতাসকাকু খুব আসতেন ,তাই না ?
বায়োস্কোপ চলছে।
এরপর সামনে এলো একপাতা ট্যবলেট নাম ওভাকন ।তাতে কি হয় ঠিক জানিনা । বিজ্ঞাপনের গানটা শুনি কিন্তু পুরো বুঝিনা। আরেকটু বড় হলে নিশ্চয়ই বুঝবো। ?
আরো কিছু হাবিজাবি কাগজ ছিলো, আর ছিলো একটা চারকোনা প্যাকেট তাতে লেখা 'রাজা'। এই রাজা এক নিভৃত ড্রয়ারের কোনায় কোন রাজ্য শাসনে মগ্ন তা বোঝার সময় নেই আমাকে ড্রয়ার বন্ধ করতে হবে। কেউ এসে পড়লে রক্ষা নেই। যাবার আগে রুপালী কয়েন দেখে এতক্ষণ যা যা দেখেছি গুলিয়ে ফেললাম।
যদি তুমি আমার কয়েন চুরির কথা বলতে আসো ,
আমিও ড্রয়ারে রাখা রাজা চুরির কথা সব্বাইকে বলে দেবো মা।
দুর্ভেদ্য বনানীর পর ,
আঁকাবাকা সর্পিল পথ চেরা স্রোতের পিছু পিছু ঘুরতে ঘুরতে,
পেয়ে গেছি আমার সানসেট পয়েন্ট। একা
হলুদাভ ঘুমঘুম আলোর ফিসফিসানি চেপে গেছি কাউকে বলিনি।
আমি জানি কার সাথে তার অন্তহীন রঙ্গতা।
তারা লম্বা কিউ ধরে দাঁড়িয়ে ছিলো পানিতে নামবে বলে
আমি তাদের গ্লাস পেইন্ট করা ফুলদানীতে জমাই
রেকাবীতে ভিজছে অলস বেলী।তার মুখরতা থেকেই শুরু হয় ঘ্রাণসূত্র।
পাড়ে আর আঁচলেই যত উচ্চাংগ তারানা ।
পারদেরা রাতেই চোখে বসে যায় গাঢ বন্দনায়।
তখন তার ডাক নাম হয় কাজল। আমি তাকে চোখের পাতায় রাখি।
বসে থাকলে হাতে হাতে ঘোরে ,
শুয়ে থাকলে বুকের ওপর সেও উপুড় হয়ে হয়ে থাকে কোনা ভেঙ্গে।
তাদের নরম কাপড়ে মসৃন করেছি এবার
ছদ্মনামটা নির্ভয়ে ঝকঝক করুক।
ঢাকাদেয়া ত্রিফলার জল গিলে নিও অর্নবের রিংটোন না ফুরাতেই ।
উড়ে এসে ডাকতেই পারে অচেনা ডাহুক
খাঁজকাটা লুব্ধকআলোয় পামট্রী আর বনসাই মুগ্ধ সে গান শুনবে ,শুনবেই।
আর আমি আরো কিছু অন্ধকার খুঁজে পাবো পুরাতন গীর্জার আশে পাশে।
পবিত্রতায় পরমার্থে।
বাবা অনেক দিন একা আছেন।
ভালো লেখা
ReplyDelete