Wednesday, April 13, 2016
একটি পশু অবয়ব যেটি অনেকটা স্ত্রী গরু বা মহিষের
মতন চিত্রপটে উপস্থাপিত। পশুটির গায়ে হলদে কমলা টেক্সচারের মিহি টান, কোথাও জমাট বাঁধা অন্ধকার কোথাও বা উপস্থিত উত্তরণের 'মই'। আকাশে জোড়া খন্ডচাঁদ কাব্যিক রাতকে নির্দিষ্ট
করে। লক্ষণীয় চাঁদ আর দুধথলির স্নিগ্ধ রঙ মিলে মিশে একাকার। নির্যাসিত প্রকৃতি আর
জীবনের রূপকল্পে সমৃদ্ধ এক শিল্পকর্ম। 'দুধথলি' শব্দটি শিল্পী অমিত বিশ্বাস প্রথম
শোনেন তাঁর এক তৃতীয়শ্রেণীতে পড়া ভাইপোর
কাছে ... স্নিগ্ধ শব্দবন্ধনীটি শিল্পীর বেশ লেগেছে, তাই
টেম্পারায় অঙ্কিত চিত্রকর্মটির শিরোনাম হিসাবে এটাই ব্যবহার করেছেন।
চিত্রপটের ঠিক মাঝখানে যে বাড়িটি আছে তার নামকরণ
করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
'চৈতি'। এটি শান্তিনিকেতনে অবস্থিত এবং
একটি পরিচিত রূপকল্প। এই বাড়িটিকে ঘিরে চিত্রকল্প গড়ে তুলেছেন কেরলের ভূমিপুত্র
বর্তমান শান্তিনিকেতন নিবাসী শিল্পী অনুপ এম.জি.। একটি হনুমানের তিনটি ভঙ্গির
উপস্থাপনায় এক গতিশীলতার আভাষে অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতকে ধরবার প্রয়াস। ছবিটির
একপাশে রয়েছে বেদী যেটি স্থবিরতা ভেবে নিতে পারেন দর্শক, অপর
পাশে রয়েছে 'No parking' বোর্ড যার তলায় কিছুটা সবুজ জীবন
বর্তমান। শান্তিনিকেতনের ভূমিপুত্রদের উপস্থিতি যেন এখন নিষিদ্ধ করছে ওই বোর্ড
লিখন, এটি একধরণের পাঠ যা গড়ে উঠেছে আশ্রমিক রূপকল্প অবস্থান
থেকে বর্তমান হয়ে অদূর ভবিষ্যতের দর্শন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment