জল ও জলবায়ু
আমি বাঙালীর প্রতি ডাক্তার অনুভব করি
জ্বর হলে আমবাগান ও বৃষ্টির গন্ধ লেগে
যায়
গড়িয়ে যাবার সম্পর্ক যাকে চিনি
সে পায়চারির মধ্যে ঢোকে এবং ব্লাউজের
সঙ্গে ফোনালাপ করে
নড়াচড়া আসলে এক গভীর প্রতারনা
বাইরে থেকে অনুভব করি
তার শোষক মুঠির ভেতর
অপুষ্ট মাংসের নির্জন তিতির
সে যদি অন্তর্গত হয়,
সে যদি সংক্রামক আয়নার কাছে
নিজেকে বর্ণনা করে
লাবণ্য ঘাই মারবে
বেদনার সঙ্গে রুমালের
হাওয়ার সঙ্গে অপেক্ষার যে প্রেম
তার ডালে ডালে আপেলের আত্মহত্যা
নেমে আসবে
এ গাঁয়ের বিবাহ,
জ্বর, তাপমাত্রা নাকি ফুলগাছ
ডাক্তার ডিঙিয়ে ম ম করবে পংক্তি ...।
তারতম্য
জুতো সম্পর্কে পথের কিছু
দ্বিধাথরথর আছে
ধুলো জানে
কোঁকড়ানো কথা। অতিষ্ঠ কথা। ময়লা ঘটিত
কথা।
সেইসব পড়ে তার চোখ নোনা স্বাদ পায়।
শার্লক ফোটে
যেমন ঘাসের ওপর দিয়ে নেমে যাওয়া
শ্যামল।
চৌখস গোড়ালির পাশে ফুটে ওঠা ঘাস ফুল।
এ এক মেঘলা চারণের দু-চরণ
এ যেন প্রচার বিমুখ আঙুলগুলোর
কোমলতুতো অভিমত।
এমন আর কী
সোজা কথা আমার বিশ্বাস হয়েছে
কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিমান তোতলাতে
দিইনি
কেন না দু একটা বালিকা এখনও কট্টর
আমার প্রয়াসে প্রস্তাব টানবে
আর জন্মক্ষণ একবার ফিসফিস করলে
থুতনির তিল তছনছ করে দেবে
তার শূন্যতা মুছবে না
এই রকম বিশ্বাস এসে দাঁড়িয়েছে
কোনো দুপুর বিকেল হলে আঙুল তাকে কষ্ট
দেবে
দরকার মতো ওড়নার কুয়াশা
মেরামত করে নেবে সক্রিয় এমনকি
স্কার্ফেও শেষ পর্যন্ত কোন প্রোটিনের প্রয়োজন পড়বে না
জুড়তে থাকি
পছন্দ তুমি রজস্বলা গন্ধ,
তোমার স্মৃতি, তোমার আঁচড়
কালো মেয়ের মৌরিফুল তুমি
পাখির প্রথাগত এক বৈকালে এসেছিলে
কিচিরমিচিরে
কারা যে সুখ! কারা যে মধু! সরু সরু
স্নেহ
হয়তো তুমি জরায়ুঘটিত নও,
হয়তো প্রচণ্ড নীলরং
প্রজাপ্রতি প্রসঙ্গ। উড়ে উড়ে গিয়ে
ছিলে পাপড়ির
অস্তরাঙা ডাকে। সে সব তথ্য স্পষ্ট
জানি না।
নিঃসঙ্গ মনে হলে,
স্পৃহা কমে এলে
লোকালয়ে সন্ধ্যার মতো বিতাড়িত হলে
ডোরাকাটা দক্ষিণ গ্রামের চরে
এই নৌকো রেখে যাবো
অসম্ভব এক ভাষা মোমসূত্রে গাঁথা হচ্ছে...
ReplyDeleteঅসম্ভব এক মোমসূত্রে ভাষা তার ডালিম খুলছে..
ReplyDeleteএভাবেই এগিয়ে যাক কবিতা নতুন আঙ্গিকে
ReplyDeleteসত্যিই ডাক্তার ডিঙিয়ে মম করছে পংক্তি
ReplyDeleteসব কিছু একাকার করে জয়ধ্বজা তুলুক ভাষা
ReplyDeleteসব কিছু একাকার করে জয়ধ্বজা তুলুক ভাষা
ReplyDelete