Wednesday, April 13, 2016
চতুর্থ প্রচ্ছদ
১
নদী শান্ত হলে অবশ্যই শেষ হয় কোন
ডালিম বাগানে। সেখানে অফুরান ধারায় পেট বুক মাথা সেলাই হচ্ছে। অপারেশানের দিকচিহ্ন
গুলিয়ে একটা শরীর ঢুকে যায় আরেক শরীরে। এভাবেই ট্রান্সপ্ল্যাণ্ট হয় নেসেসারী
হিউম্যান পার্টস্। ধরো একটা ডালিমে ভরে উঠছে হয়তো আপেলের ক্ষুধা। আমিও নদীকে বেশ
শুদ্ধ করে এলাম। নিজের শব বিচ্ছিন্ন করে ওখানে স্নাত হব। তার আগে অভুক্ত ক্ষিধেতে
একটু হাত দি। মুখ মাথা হাঁ এদের বেশ করে চুমু খাই। থুতনী পরিয়ে দি পুরোনো
মুখোশটাতে
২
ডালিম ডালিম করে এবার হরির লুট
দেব। পত্ পত্ উড়বে আমার যৌনচিহ্ন। ধুয়ে ফেলে রসিয়ে খাব পোকাটে দাঁত জিভ চোখ। থুতু
মূত্র বা বীর্যত্যাগেও ডালিমের আত্মসুখ হয়। এমন ডালিম ডালিম করার কি হল। পৃথিবীটাই
আত্মরতিতে ভাসছে নাকি। এক প্রবল জোয়ার আসুক বা হিমবাহ। সমস্ত ডালিম ভরে দুলে উঠবে
ফ্রীজার। জপতপ প্রাণায়াম সেরে চাষের শুরুয়াত হবে
৩
তওবা তওবা। শব্দে কোথায় ভোর হল।
ডালিমক্ষেতের ডানাগুলো ছাড়িয়ে রাখছে কেউ। ভেড়ামানুষেরা এক্ষুণি খেয়ে ফেলবে সব।
একটু বাগান থাক চাও না কেন। ওজোন পেরিয়ে বত্রিশ ঘণ্টার ঝড় আসছে। আমি ভালো আছি।
ডালিমক্ষেতের ঘাস শুকিয়ে বেশ ঝলসেছে চামড়া আমার। কোঁচকানো আলোয় ইন্দ্রিয় খেলা করে।
সাড়া দিয়ে আমিও খুলি। প্রায়শই এমন খুলে বেড়াই আমি। শীত শরতের লিঙ্গ থাকে না এখানে।
শুধু একটা কাঁচির অপেক্ষায় প্রহর। শুনছি। পেলেই পোড়া চামড়া কেটে ডালিমক্ষেত বানাবো
৪
আজ সকালে ডালিমক্ষেতের সব দানাই
বনসাই হয়ে গেছে। আকাশের আলো শুষে মাটি নিচ্ছে গেঁহু বজরা ছোলার শিষ। এখন আমি
সাইকেল হবো। নতুন দিগন্ত মুমূর্ষু করছে এই ক্ষেত ঘর আলো ও বনসাইকে। তোমরা রাতের
চোখে তুলে রেখো ওদের। জল ঝরে ক্ষেতি হোক। লাল সবুজ সমবায় নেমে যাবে মায়ের দুধে।
বুকের ফাগুনে ফলন্ত ডালিম। নেড়েচেড়ে একবার অন্তত গৌণ করো ওকে
৫
রসস্থ হয়েছেন ডালিমসাহেব। ভিতরে
ধুকপুকে জনপদ। এদিকে ঘুম হচ্ছে সবটুকু। চাঁদ ফেটিয়ে ক্ষীর হবে। জনপদের গন্ধে
বিড়ালের ছায়া। ওর থাবায় বৃষ্টি এল। বুক পুড়ছে দুধের। মিঠে গন্ধে শরীর ঘোলায়। ডালিম
প্রজন্ম ঝুমঝুমি খেলে সূর্য ডাকলো। বৃষ্টি ধুচ্ছে গাছের বাঁট। পোড়া মাটিতে রেনবো। নদী
টেনে টেনে ডালিম শস্য খুঁজছে ------- ফাঁক করে মুখ ডোবাচ্ছে বুকে
৬
সব ‘ হ ‘ য়ে হসন্ত লেগেছে। এবার
নিপুণ ডালিমসময়। বৃষ্টিও আমার মতোই শুকিয়ে গ্যালো। তবু ঝরছে। রুক্ষ বলে কিছুই নেই
এ দলিলে। পুরোটা মজে আছে ডালিম নেশায়। এই হাসিনা যৌবন নিয়ে কি করি। সবেতেই মায়ের
মুখ লাগে। শ’য়ে শ’য়ে ডালিম বিক্রি করে দেব। অন্তত পুড়িয়ে দিই যৌন জ্যামিতি। তারপর
সংবিধান। একের পর এক খসড়ায় নিষিক্ত হবে এক পৃথিবী ডালিমওয়ালা
৭
রাতে আমার ডালিমবোধ তীব্র হয়। এত
আঘাতেও প্রসব বিলম্ব কেন। হেকিমের পরেশানিতে দারুণ মজা পাচ্ছি। আর ডালিমে ফেটে
পড়ছে পোশাকহীন টুকরো হাসি। ক্ষেতের পুরোটাই এখন দখল নিয়েছে ভাড়াটে পাখিরা। প্রসব
দীর্ঘ হওয়ায় খাবার পাচ্ছে না তাদের সন্ততি। এ সমস্ত ডালিমের মতোই মুখরোচক। দু’
হাতে চটকাচ্ছি। নতুনের আগেই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে রুমাল ঢাকা অজস্র ডালিম
৮
তো ডালিমরা সব বড় হয়ে গ্যালো। হাতে হাতে
কালাশ্ নিকভ নিয়ে ক্যামন পালিশ হয়েছে দ্যাখো। ওরে আমি তোদের জন্মগত পিতা। এখন আর
চোখে দেখতে পাই না। তো কি হল। ফুঁসে ওঠা ডালিমের রক্তে আমি যে লাল হয়ে যাচ্ছি।
মাটির তাপে আগুন গলছে। এবার সব ফাইবার হয়ে যাবে। স্মাইলি হাসিতে মায়ুজ ফোটাবে
ডালিমঘাতক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
এই পুনঃপুনঃ ডালিম।ডালিম ধারন ও ধারনা দিয়ে ডালিম ধরল স্ত্রীভুমিতে।
ReplyDeleteonek dhonyobaad.....dalim dharoner teebrota o jontrona e tumio chhnoya dile bole...
Deleteতওবা দিদি তওবা
ReplyDeletejahanpanah huzoor....bhor holo mon....tomar anubhuti te....dhonyobaad...
ReplyDelete