Wednesday, April 13, 2016
চায়ের দোকানের স্ল্যাঙ্গোয়েজ
কি করছো এখন?
চিরকাল এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যাবলিয়ে থাকি। তোৎলা আমি আরও তোৎলিয়ে
আরো বেশি – মিথ্যে বলতে পারিনা বানিয়ে – সত্য হলো চিরবেকার – ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে
বেড়ানোর ল্যাদ খাওয়া টাইম স্লটগুলোর মাঝে লিখি – বই বের করি – আনকনশাসে মিথ্যে বলে
কিছু নেই – বাস্তবহীনতা বলে কিছু নেই – টাইম সেন্স নেই তাহার – চলমান সবসম্ভব
নিত্য – কবে ওহে আমি বলবো, ওই কি কর প্রশ্নের উত্তরে – “আমি লিখি, ২৪ ঘণ্টার লেখক
আমি একজন।”
কি কাজকর্ম করছিস আজকাল?
আজকালভয়দেখাচ্ছি, কামড়েদিচ্ছিএইসব– বলে রাস্তা পার হয়ে যাই –“এই তো রাস্তা
পার হচ্ছি” বলে হাসতে হাসতে পার হয়ে যাই – যদি এমত হিউমারও থাকতো শেষ পারানির
কড়ি...। কি আবার করবো? কি আর করবে? নিয়মিত হাওড়া-শিয়ালদা করা ছাড়া। কম জলে মদ
খাওয়া ছাড়া পৃথিবীকে দেওয়ার মতো কিছু নেই। যখন কিছুই নিমেষলভ্য নয়, তখন একা একা
একমাত্র হাওড়া-শিয়ালদাই করতে পারে। পৃথিবী একা সাড়ে পাঁচ ফুটের অসম্ভব রোগা
ন্যালাক্ষ্যাপা হাড়গিলে একটা, তাকে কিছুই ফেরৎ দিতে পারি না বলে লজ্জা পাই- অথচ সে
তো দিতেছে স্বর্ণশস্য, জাহ্নবী বারি, কিছুই কখনো দিতে পারবো না বলে বেঁচে থেকে
পৃথিবীর সম্পদ উজাড় করতে নিজেকে প্রতিক্রিয়াশীল ঔপনিবেশিক ধর্ষক বলে – অপাংক্তেয়
বলে কখন যে কি বলি আমি...
কি যে করছি...নিয়মিত হাওড়া-শিয়ালদা; কুঁদঘাট মিনি – হাইলনড পার্ক – এইসব
কলকাতা চিনি না। চালশে কলকাতা – বর্তমান তার কখনো ইতিহাস গৌরব, ঐতিহাসিক হবে না –
আলসে পলিটিক্যালি নাম্ব – পলিটিক্যালি অটিস্টিক – এই সব নবোদিত দ্বীপজ কলকাতাবাসী –
ভূগোলকে ধ্বংস করছে, ভৌগলিক মূল্য সম্পদ হরণ করছে – কলকাতাকে সীতা, সীতা মনে হয় –
এদের শৃঙ্খল, পিতজা ও পলিটিক্যাল কারেক্টনেস ছাড়া হারানোর কিছুই নেই – কিস্যু নেই
কোথাও...মিমিক্রি করছো, সত্যিই একদিন দেখো ভ্যানিশ – কলকাতা পালাতেছে নড়িতে নড়িতে
আমি স্থানিক, আমি
আত্মজৈবনিক, আমি অকাল্পনিক, আমিই ধর্মগ্রন্থ – আবার বিষয় ডানলপ, আবার বিষয় চায়ের
দোকান, আবার এক ‘তারক’ সার্থক নাম – আমি আজন্ম আদিরসাত্মক
- যা এখানে ভিড় বাড়াস না, ওখানে ধোন ধরে বোস।
- বাড়া, কাকে কি কথা বলছিস, বড্ড বাড়াবাড়ি করছিস বাড়া –
এমন কানপট্টি দেব না সব মাখন বেরিয়ে যাবে। দেখ, বাড়া দ্যাখ, এইজন্য বলে মাথায়
ট্যান হলে খিস্তি মারিয়া বোঝাইতে হয়। মুখ দ্যাখ, ডানলপের বুকে চমকে চলে যাচ্ছি,
চুহা রে চুহা তুই – এই লাগে – বলে আঙুল টিপে যখন ইঙ্গিত করে মাস্টার তখন তারক
নিবিষ্টমনে – এমত নিবিষ্ট চিত্তে ‘বাটা’ গুনছিল যে কিছুই তাহার কর্ণগোচর হয়না –
দুবার ১০০র খুচরো উপর্যপুরিগুণিয়া সে আমায় ১১০ টাকা ধরাইল – তাহার মোটে পাঁচ টাকা
লাভ হইবে – সুতরাং সকলের অবগতির জন্যই – এখন মার্কেটে ১০০ টাকার বাটা খাটালে ১১৫
টাকা পাওয়া যায়
হাওড়া-শিয়ালদা
কড়ি সচেতনে, অবচেতনে স্বপ্নদোষে বড়জোড় হাওড়া-এম জি রোড-শিয়ালদা, শিয়ালদা-এম জি
রোড-হাওড়া-একটা হল্ট নেয়-যাকে স্বপ্নের ডিফেন্স মেকানিজম বলে-টার্কি থাকে
নিত্যযাত্রীদের-হঠাৎ জেগে উঠে পকপক করে মেরে ঘুমিয়ে পড়ে না। প্রথমে ভ্রুদ্বয়ের ঠিক
মধ্যিখানে হাল্কা চুমু-তারপর ঘাড়ের পিছন দিকে–এইভাবে খ্যালা বাড়ে- চেতনার ভিতর খুব
নড়াচড়া বেড়ে যায়-ক্রমে উতলা আরো হতে হতে পাখি খুন হয়-সকল যৌনতার প্রভাবেই হয়-যা হয়
না, তা হল আফটার প্লের ধারণা ব্যবহার হয় না-সঙ্গম হয়ে গেলেও দীর্ঘক্ষণ যোনিরোম,
যোনিত্বক টেনে টেনে এভাবে উত্তরসঙ্গম শিল্প হয়ে ওঠে-উঠতেও পারে
- আড়াই কাঠা জমি চাষ কর গিয়ে ফালতু বাতেলা না মেরে...
- কেন তোর কি পাঁচ কাঠা আছে রে বাড়া...
- তা হবে কেন, সবারই আড়াই কাঠা, দুবিয়েতে পাঁচ হতেও
পারে...
- তাহলে কি ফাতনা দিচ্ছ? কে করবে বাড়া এই বয়েসে তোমায়
বিয়ে?
- কেন, বিয়ে করবে না কেন? করলেই হয়! আমার যে বড্ড শখ-মরার
আগের দিন পর্যন্ত যেন লাগাতে পারি...
মরার আগের
দিন পর্যন্ত নয়, মিথুনরত অবস্থায় মরা তারকের ঈপ্সিত, যেমন ক্রৌঞ্চবিরহ
জন্মায়...প্রথম শ্লোক...আমিও এভাবেই কবি-হোক সে তারকের চরিত্রগাথা, আমিও নব্য
বাল্মীকি...ভাবি এতই ভদ্র আমি, আমার পরিবার-এই সচ্ছলতর সচ্ছলতম তারক সাপেক্ষে
বিবাহ আকাশকুসুম-যদি মুসলমান ও তার তিনঠো বিবি হওয়া যেত- আমি শিক্ষা, সৌজন্য ও
লেখা এখুনি বিনিময় করে নিতে রাজি
- ওই এক আড়াই কাঠায় আর কতো লাঙল চালাবে-তোমার লাঙলে তো জঙ
ধরে গেছে...
মন রে কৃষিকাজ জান না-আবাদী জমি রইল ন্যাড়া
স্পার্ম– কেনই বা শুধু ধুয়ে ফ্যাল হাত, করে নাও ঘেন্নায়
স্নান?স্পার্ম দিয়ে ফেশিয়াল করো — ভাতে সামান্য ঘিত্রাকারে নাও, স্পার্ম আটা মেখে
খাও প্রেমভাজা, স্পার্মsoap, স্পার্ম শ্যাম্পু, স্পার্ম ফ্লেভারড ডিও ও আইসক্রিম,
সবচেয়ে বড়ো স্পার্ম ফ্লেভারড কনডম—ক্রিয়ার শুরু থেকেই শেষের ফিলিংস, পড়ল কি পড়ল না
মোটামুটি ম্যানেজ দেওয়া যায়— শেষ হয়ে হইল না শেষ ক্লিশে – আমার এ ছোটগল্প ভুলে
রুচির বালাই –স্পার্মফ্লেভারড কনডম বানাই। ধ্বজদের ধ্বজা ওড়াই চলো।
আমি লিখি
আত্মজৈবনিক – আমি লিখি আদিরসাত্মক – আমি লিখি ধর্মগ্রন্থ লিখে থাকি
যারা অবশ্য সত্যই শুধু
হাওড়া-শিয়ালদাই করে, বাসের কনডাকটররা, তাদের ঘুমদোষে অবশ্য এম জি রোড পড়ে না –
ঘুমের মধ্যেও তারা শুধু হাওড়া-হাওড়া-হাওড়াই বলে যেতে থাকে অভ্যাসবশতঃ, একবগগা
বিড়বিড় করে যেতে থাকে শিয়ালদা মৌলালি, শিয়ালদা, মৌলালি রাজাবাজার... দৈনন্দিনতা এত
বেশি স্বপ্নে স্থান পায় যে বলতেই হয় স্বপ্ন এক অভ্যাসের ফসল – স্বপ্ন দেখা, মনে
রাখা, স্বপ্নের ডায়েরি এক উন্নত অভ্যাসের ফসল। স্বপ্নে তবু বাস্তব এক বেয়াদপ
ব্যধি। তবু শুধু স্ট্যান্ডের কাছে পৌঁছেই সব ড্রাইভার, সব কনডাকটরের দিল তো বাঘ,
বাঘ। এমন স্পিডে চালায় যেন পনেরো দিন পর একটু চান্স পেয়েছে হাওড়ায় হাওড়া, শিয়ালদায়
শিয়ালদা করার।
- বড় খাসি খাবি বাড়া! বাড়ার চুলে সাদা বাল গজিয়েচে...দম
আছে বড় খাসি খাবি!
- তোর মাই তো আমার ঝাঁটের বাল কামিয়ে দ্যায় রে!
বাড়া, মুখ দেখার আগে তো বুক দেখিস।
যেসব মেয়েদের মুখ একেবারে বিচ্ছিরি, কাজের মাসী টাইপ,
তাদের লাগানোর ইচ্ছাই হয় না।
তোর বীচি, মুখে বালিশ চাপা দিয়ে চুদে দিব। এই বলে
দেওয়ালে সাঁটানো সানিয়া মির্জার ডবকা পোস্টারের মুখে বাড়া চেপে ধরে অনিকান্ত
বারবার বলতে থাকে – চোষ, চোষ, চুষে দে, একটু চুষে দে মা, কখনো চোষন পাইনি, একবারের
জন্য চুষে দে, অবোধবালক মদনযন্ত্রণায় আর পারে না...চুষে দে, চুষে দে...দিবি না তো –
আজ বাড়াই কেটে ফেলবো আমি! ব্লেড বা কাঁচির নাগাল পাওয়ার আগেই যাবতীয় বাধাপ্রাপ্ত
হয়ে আমাদের অনিকান্ত স্বামী গুম মেরে বসে বসে “পাশের বাড়ির বৌদিকে ন্যাপা চুদে”
নামক এক দেশি পর্ণ দেখতে থাকে কিন্তু স্ফূর্তি পায় না, পাবেও না, শুতে শুতে আজন্মকাল
যৌনশক্তিকে ঐশীশক্তিতে রূপান্তরের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে চলেছি। ব্যর্থতাবোধে লজ্জা
নেই, এমন এমত সাধনা এই, চালিয়ে চলেছি।
- লাইক ব্রিটনি বিচ, ইটস জোডি বিচ...
- Tell me one more time, and I WILL BE OFF…
- ইটস জোডি জোডি জোডি বিচবিচারি...
- OK, bye, see u
হাসতে হাসতে একটা সম্পর্ক শেষ
করি। প্রেমটা অফুরন্ত হাসি আর ইয়ার্কির মধ্যে দিয়ে ভাঙল। I’m suffering from too much happiness…
অথচ সেই বুড়ো কচ্ছপ ও ঈগলের
চোখের ভালবাসা – জানলায় বাতাসও নিথর হয়ে যেত শুনে –swan shadow floats double– পৃথিবীর সব
প্রেম বিলি হত আমাদের থেকে – প্রেমিক, পিতা ও ধর্মযাজকের সেসময়, হায়, ‘একটি ওঁকার
তুলে মহাশূন্যে লীন’ হয়ে গেছে – শুধু চিরন্তর এ গল্পের শেষও সেমত হল ‘আমার পরাণ
যাহা চায় আমি তাই গো’ ঘৃণায় –
আমার জুসি পুসি চাই, বিগ বিগ বুব চাই। পুসি চাই, বুব চাই
আমার। গুদ, মাঝারি গড়নের, বড় দুধ, বড় বড় দুধ চাই...জুসি পুসি বুব বুব গুদ গুদ দুধ
দুধ এমত বলতে থাকলে বা অবিরাম লিখে যদি বা যেতেও থাকি তবে যা পাওয়া যায় মাস্টারবেশনের
আনন্দের সঙ্গে তার তুলনাই চলে না। কল্পনাক্রিয়া সর্বদা ঐশ্বরিক মাধুর্যে ভরা। এটি
তবু গাঢ় সত্য যে দুধ গুদ বুব পুসি পৃথক পৃথক অঙ্গ নারীদেহের। একেবারে চূড়ান্ত
খণ্ডিত অ্যাবসারড অংশবিশেষ। আমার স্মির পুসি চাই, বুব চাই, একমাত্র স্মি গুদ চাই
দুধ চাই। অন্ততঃ বারবার এমত বললে যা আদপে বোঝায় গোটা স্মিই চাই আমার।
“স্বামী নয় পুত্রকন্যা নয়
আমার নামের সঙ্গে তার নাম রয়।
আমার হৃদয়ে আছে ঠাসা
এই ভালোবাসা।
ভালবাসার
প্রতিযোগিতায় জিতে গেছি আমি আর
ভবে
আমার নামের সঙ্গে তারই নাম উচ্চারিত হবে।
এইভাবে আমি গেছি বেঁচে।”
--বিনয় মজুমদার
স্মিও বুঝবে ক্রমশঃ তাকেও লেখক হতে হবে – তাকেও আরেকটি নহন্যতে – পাল্টা
উত্তর – তার সত্য তার কল্পনা লিখে যেতে হবে।
কারণ স্মিদেহের একটি অংশ
পুসি অপরটি বুব – তাদের পৃথক অস্তিত্ব নেই স্মিদেহ ছাড়া। এই অংশগুলো তুঘলক খুবলে
নিয়ে সলিউশানে ডুবিয়ে রেখে সংরক্ষণ করে রেখে মাঝে মাঝে নেড়ে ঘেঁটে দেখলেও স্মিদেহে
তারা সংযুক্ত অকৃত্রিম থাকলে যে সুখ দিতে পারত তা কদাপি পাব না। এবং খুবলে নিলে
শুধু নাম কা ওয়াস্তে ছাড়া তারা আর স্মির থাকে না। তাই নারীদেহে ফ্যাসিস্ট চলে না।
ঔপনিবেশিক চলে না। শিকড় গাড়িয়ে নিতে হয় নারীদেহে, নারীদেহ পেতে হলে তবে। আলাদা করে
নিলে যে কোন একটি গুদ, দুধ, পাছা হয়ে যায়। মালিকানা থাকে না। স্মিদেহ থাকলেই স্মির
যোনি স্মির, স্মির দুধ স্মির – এর বিপরীত হয় না। অবশ্য অথচ শুধু পুসি, জুসি, বুব
ভ্যাজাইনা, হিপ্স ডোন্ট লাই শব্দ হিসাবে শব্দের পলিটিক্সে প্রভুশব্দ – এদের
মাধ্যমেই সমগ্র নারীদেহ স্ট্যাটিস্টিক্স–নারীদেহবর্ণনায় সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দ এই বুব, কোমর, হিপ, গুদ–জানি তাও, তবু মন উধাও–অন্যান্যঅঙ্গ
ও সমগ্র নারীদেহবর্ণনাত্মক শব্দগুচ্ছগুলি দাসানুদাসকল্পনাশ্রয়ী খেসটোকাব্যমারানোতারকস্বাপেক্ষে হয়েও আমরা তো বুঝছি অপরিহার্য–এইভাবে এই গল্প বুলুফিল্ম হলনা। বিকৃত যৌনতার দাম বেশি প্রভুবাদী, প্রভুভাবী– তবে সে স্তরের আগে স্বাভাবিক যৌনতার কমদামি দাসঅভিজ্ঞতা থাকা দরকার। কারণ স্বাভাবিক যৌনতা অভ্যাস, অতৃপ্তি হলে তবেই বিকৃত যৌনতার চাহিদা জাগায়।
আমি অবিবাহিত, নামতা আমার চিরকাল মুখস্থ নেই, তাই গুনিনা বান্ধবী, আমার যৌনতা তাত্ত্বিক, তাই আমিও জানিনা কেন সব কিছু যৌন হয়ে যায়…শুধু ভাবি শরীয়ত ছাড়া মারফতকদাপি হয়না
- দাও তারকদা, এবার আমার জলকাটা ঠাণ্ডা চা দাও...
- কে তোকে বলেছে চা খেতে...
- দোকান কিসের? না চায়ের। বেচে কি? না চা। সে আবার বলছে চা
খেতে হবে না। বেশ করেছি, বলবই তো বালের চা...বালের চাকে বালের চা বলা যাবে না!...
বাল...
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বড্ড ভালো
ReplyDeleteore bas chorom level er lekha,e jeno amake uddeshya korei lekha
ReplyDelete