Wednesday, April 13, 2016
কিছু
কবিতা নিয়ে অনুসৃজনের এক ভিন্ন-পরীক্ষা
পাঠ : অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায় |
অনুসৃজন : নীলাব্জ চক্রবর্তী
কবি পরিচিতিঃ
ফারসি ভাষার কবি আলি আবদোলরেজ়ায়েই-এর জন্ম
১৯৬৯ সালে, উত্তর ইরানে। তেহরান টেকনিক্যাল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাস্টার্স
করেছেন। কবিতা লিখছেন
১৯৮৬ থেকে। প্রথম
কবিতার বই ‘আয়রন মেন রাস্ট
ইন দ্য রেইন’ (১৯৯১)। অন্যান্য
কবিতার বই—‘ইউ নেম দিস বুক’ (১৯৯২), ‘ইম্প্রোভাইজ়েশান’
(১৯৯৯), ‘সো সারমন সোসাইটি’ (২০০০), ‘আই লিভ ইন রিস্কডম’ (২০০৫), ‘হারম্যাফ্রোডাইট’
(২০০৬), ‘দ্য ওয়ার্স্ট লিটারেচার’ (২০০৭), ‘সিক্সোলজি’ (২০১০), ‘নো ওয়ান
সেইজ় ইয়েস টোয়াইস’ (২০১২) ইত্যাদি।
২০০২-এ তাঁর
কয়েকটি বইয়ের ওপর অতিরিক্ত
সেন্সরশিপের প্রতিবাদ করায় তাঁর
শিক্ষকতা ও জনসমক্ষে মতামত
জানানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করা হয়। এরপর
কিছু মাস তিনি জার্মানিতে
থাকেন। তারপরে দুবছর
ফ্রান্সে। এবং পরে লণ্ডনে
থাকতে শুরু করেন। ইংরেজি
ছাড়াও ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশ, আরবি, উর্দু, পর্তুগিজ, ডাচ ও
বাঙলা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে তাঁর
কবিতা।
আলি আবদোলরেজ়ায়েই-এর কবিতায়
নিরন্তর পরীক্ষা এবং ধ্রুপদী
পার্সিয়ান সাহিত্যের পরম্পরাগত মূল ধারার প্রতি
বিরুদ্ধচারিতা দেখা যায়। তাঁর
কবিতা ট্র্যাডিশনাল পার্সিয়ান
কবিতার ভাষাকেই চ্যালেঞ্জ করে।
১৯৮৯-’৯০ থেকে ইরানে খুব স্পষ্টভাবে ‘নিউ পোয়েট্রি
মুভমেন্ট’ (‘হাফতাদ পোয়েট্রি’) জেগে উঠতে
থাকে। আবদোলরেজ়ায়েই ছিলেন
এই আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ধর্মনিরপেক্ষতা এবং প্রগতিমূলক চিন্তাগুলোকে
নিয়ে পরীক্ষাধর্মী ইরানি
সাহিত্য এই সময় থেকেই
একটি আকার পেতে শুরু
করে। প্রধানত ‘Individualism’-এর ওপরে
আলোকপাত ক’রে বেড়ে ওঠে এই ‘নিউ পোয়েট্রি
মুভমেন্ট’। কবিতার মূল লক্ষ্য প্রচণ্ড
আবেগ-উচ্ছ্বাসকে প্রকাশ করা ও প্রকৃতির
ছবি আঁকা—এই গৎ বাঁধা
ধারণা বর্জন ক’রে তাঁরা বাস্তবের চলতি
ভাষায় বিভিন্ন মুহূর্তকে (moment) নিয়ে
লিখতে শুরু করলেন।
কবি আলি আবদোলরেজ়ায়েই-এর কবিতার
ভাষা, আঙ্গিক, বিষয় একেবারেই স্বতন্ত্র। তিনি
সাহিত্যের আঙ্গিক ও বিষয়ের
পরিবর্তনকে রাজনৈতিক ও সামাজিক
পরিবর্তনের সহায়ক হিসেবে দেখেন। কবিতা লেখার শুরুর দিকে
আবদোলরেজ়ায়েই নতুন অভিজ্ঞতাগুলোর সাথে
communicate করার জন্য ভাষাকে এক নতুন
আঙ্গিকের দিকে নিয়ে যেতে
শুরু করেন। প্রথাগত
বাঁধা ধরা ছন্দে তিনি
কবিতা লেখেন না। তাঁর
কবিতায় শব্দের (word) ধ্বনি-নির্ভরতার (sound-patterns) ওপরে কাজ লক্ষ্য
করা যায়। তাঁর
লেখা obscure এবং dense। অসাধারণ চিত্রকল্প, ভাষার
স্বাতন্ত্র্য, বাচনভঙ্গি ও শব্দ
চয়নে আচমকা শিফটিং, সমসাময়িক জীবন
থেকে তুলে আনা ছবি, নিজের
ভাবনা ও অনুভূতির সাবলীল
প্রকাশ, ব্যক্তিগত অনুষঙ্গ—এগুলোকে তাঁর
কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলা যেতে
পারে। কবিতায় প্রথাগত
নিয়মকে অস্বীকার করেও এবং
arbitrariness-এর ঝুঁকি রেখেও তিনি
পাঠকের সাথে কথা বলেন
নির্জনতার গভীর থেকে। কবিতায়
‘multiplicity of words’ meanings’ নিয়ে তাঁকে খেলতে
দেখা যায়। কবি আলি আবদোলরেজ়ায়েই
মনে করেন, কবিতা হ’ল, ‘vital part of the process of social
transformation’.
এই সংখ্যার কাজ নিয়ে যে-কথাগুলো বলা প্রয়োজন
অন্যান্য নানান শিল্প-মাধ্যমের মতো অনুবাদ (translation) এবং অনুসৃজনও (transcreation) এক বহুস্তরীয়
সৃজনশীল ধারা। সারা পৃথিবীর সাহিত্যে এই মাধ্যমে নানাপ্রকার পরীক্ষা ও চর্চা হয়েছে
এবং হয়ে চলেছে। অনুবাদের প্রধান রীতি কী হওয়া উচিত তা আজও তর্কসাপেক্ষ; কিন্তু
তর্কাতীত হ’ল, একটি মাধ্যমে যত বিবিধ পরীক্ষা চলে, সেই মাধ্যম ততই সচল ও প্রবহমান
থাকে। পলি কম পড়ে। পড়লেও দ্রুত সরে যায়।
v বাক্ ৭২ থেকে বাক্ ৯৬—অন্য ভাষার কবিতার অনুবাদে যেভাবে কাজ হয়েছে
‘বাক্’-এর ‘অন্য ভাষার কবিতা’ বিভাগটি শুরু হয় ২০১৩ সালের অগাস্ট থেকে।
সেই থেকে এই বিভাগটিতে যাঁদের কবিতা অনূদিত হয়েছে তাতে মোটামুটি ৫টি মূল কাঠামো
আমরা বজায় রেখেছি।
(১) এঁরা
প্রত্যেকেই বিংশ শতকের নব্বই দশক অথবা তার পরবর্তী সময়ে লিখতে এসেছেন। (২) এঁরা প্রত্যেকেই এশিয়া মহাদেশের কবি।
এশিয়ার কোনও-না-কোনও ভাষায় এঁরা কবিতা লেখেন। (অবশ্য এক্ষেত্রে দু’তিনজন
ব্যতিক্রম রয়ে গেছেন; যেমন রাশিয়ান ভাষার কবি ভেরা পাভলোভা, গ্রিক ভাষার কবি
দিমিত্রিস লিয়াকস, আইরিশ ভাষার কবি আলভা নি ঘেরভাঘ, প্রমুখ।) (৩) প্রতিটি
ক্ষেত্রেই জীবিত কবিদের সাথে কাজ করা হয়েছে। এতে সুবিধে হ’ল কবির সাথে
অনুবাদকের সরাসরি ইন্টার্যাকশনে যাওয়া সম্ভব হয়। (৪) প্রতিটি অনুবাদই মূল লেখাটির
ইংরেজি অনুবাদ থেকে করা হয়েছে, মূল কবিতাটির সাপেক্ষে রূপকল্পগত অবিকল সাদৃশ্য
বজায় রেখে। (৫) এখনও অবধি এই
বিভাগে (বাক্ ৭২ থেকে বাক্ ৯৭; অগাস্ট ২০১৩—এপ্রিল ২০১৬) যে ২৪-২৫ জন কবি এবং
তাঁদের কবিতা নিয়ে কাজ হয়েছে তাঁদের মধ্যে কেউই বাঙলায় পূর্ব অনূদিত নন। এবং
প্রত্যেকেই (উক্ত ২৫ জন কবি) তাঁদের নিজেদের ভাষায় পরীক্ষামূলক ব্যতিক্রমী
সাহিত্যধারার লেখক/কবি। কেউ কেউ নিজদেশে রাষ্ট্র কর্তৃক নিষিদ্ধ অথবা নির্বাসিত,
কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন রাজনৈতিক কারণে।
কিন্তু যেটা উল্লেখ্য এবং লক্ষ্যণীয়, এখনও অবধি এই বিভাগে অনুবাদগুলির
ক্ষেত্রে র্যাডিক্যাল কোনও প্রকরণ অথবা পন্থা নেওয়া হয়নি। অনুবাদের ক্ষেত্রে
আন্তর্জাতিক রীতিগুলো মেনে প্রথানুগ ভাবেই এই বিভাগে কাজ হয়েছে। এর নির্দিষ্ট এবং
বস্তুনিষ্ঠ কিছু কারণ ছিল। বস্তুত এখনও সে কারণগুলি জীবিত। যতটা সম্ভব মূল-অনুগামী
অনুবাদে শুধু অন্য ভাষার কবিতাকে জানাটাই প্রধান উদ্দেশ্য নয়। এর ক্রস-কালচারাল
এক্সচেঞ্জ, সোশিও-পলিটিক্যাল সাইন, লিঙ্গুইস্টিক ভ্যালু এগুলির মূল্য অপরিসীম। আমি
নিজে অনুবাদ করলে এভাবেই করতে চেষ্টা করি। এ এক ধরনের গবেষণা প্রকল্প।
কিন্তু অন্য-অন্য রকম পরীক্ষাগুলোও তো একইসাথে চলতে থাকাটা প্রয়োজন। আমি নিজে
না করলে অন্য কেউ করবেন, করতে তো হবেই। অনুবাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার নানাপ্রকার
পথ রয়েছে। এবার থেকে প্রতি সংখ্যাতে সম্ভব না হলেও বছরে অন্তত ২/৩টি সংখ্যায় আমরা
চেষ্টা করব ব্যতিক্রমী এবং পরীক্ষামূলকভাবে করা অনুবাদের কাজ তুলে আনতে।
v এই সংখ্যার কাজ
আলি আবদোলরেজ়ায়েই-এর একটি দীর্ঘকবিতার বই—‘সিক্সোলজি’। ২০১০ সালে
প্রকাশিত। ৬টি দীর্ঘকবিতা নিয়ে এই বইটি। মূল বইটি ফারসিতে লেখা। ইংরেজিতে অনুবাদ
করেছেন ইরানীয় বংশোদ্ভূত ইংরেজি ভাষার কবি আবোল ফ্রাওশান। বইটি পড়তে দিয়েছিলাম
নীলাব্জ চক্রবর্তীকে। তিনি ওই ছ’টি আলাদা-আলাদা দীর্ঘ কবিতার বিভিন্ন অংশ থেকে
নিজের ভালোলাগার পরিসরটুকু তুলে নিয়েছেন, এবং সেই অংশগুলির অনুবাদ করেছেন। আমরা
কেউ জানি না কোন্ অংশটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া, এখানে তার উল্লেখও রইল না। এখানে
পৃথক একটি স্বতন্ত্র কবিতা গড়ে তুলেছেন নীলাব্জ। বাঙলা অনুবাদগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট
অংশের ইংরেজি অনুবাদটিও রইল। আমি এ-কে ফিউশন বলব। একটা কবিতা—তিনজন তাতে আঙুল
বুলিয়ে গেলেন; একজন ফারসি ভাষার কবি, একজন ইংরেজি ভাষার কবি, আর একজন বাঙলা ভাষার
কবি। উল্লেখ্য, এখানে কিন্তু আর মূল কবিতাটির সাপেক্ষে রূপকল্পগত অবিকল সাদৃশ্য
বজায় রইল না।
আমি অনেকদিন ভেবেছি, অনুবাদ যেন সর্বদাই চায় মূলের ছায়ায় গিয়ে দু দণ্ড
বসতে। খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনুবাদ নিজে কিছু একটা হয়ে উঠল, নিজে নিজের মাথা
তুলে একা দাঁড়িয়ে পড়ল। বার্ট্রান্ড রাসেল একবার বলেছিলেন, ‘‘The idea that things must
have a beginning is really due to the poverty of our imagination.’’ আমার বিশ্বাস, এক অনন্য কোলাবরেটিভ কাজের নজির হয়ে রইল নীলাব্জর এই
অনুসৃজনগুলো। যেখানে আলি আবদোলরেজ়ায়েই, আবোল ফ্রাওশান এবং নীলাব্জ চক্রবর্তী—তিনজনে
একটি open-ended ত্রিভুজাকৃতি স্বতন্ত্র পরিসর নির্মাণ করেছেন।
নীলাব্জকে ধন্যবাদ, ও ভাগিরথীর উৎস সন্ধানে নামেনি, বরং স্রোতে ডুবেছে ভেসেছে
নিজের খেয়ালে; ভালো না লাগলে উঠে এসেছে তীরে। সে অর্থে এটি একটি র্যাডিক্যাল কাজ।
জানি, এই পদ্ধতিতে মূল কবিতাটির নখাগ্রও ছুঁতে পারা যায় না। কবিকেও চেনা
যায় না। এও জানি, পাঠকের অভ্যাস নতুনের শত্রু। কিন্তু যদি একটি পুষ্ট অবচেতন এবং (সুতীক্ষ্ণ)
কল্পনাশক্তিসম্পন্ন একটি খোলা মন নিয়ে পড়তে আসা যায়, আমরা হয়ত শিক্ষিত হব সেই
শিক্ষায়, যেখানে Language actually does not separate us,
rather it can bring us closer together. যে শিক্ষায় কখনও-কখনও গাছের মূল (শেকড়) না-খুঁড়েও
গাছের ছায়াতে এসে দু দণ্ড বসা যায়।
অর্জুন বন্দ্যোপাধ্যায়
মার্চ,
২০১৬
কীভাবে পেরিয়ে যাব ওই আপেল
How
can I travel the apple
through
a town that inherited zilch?
Not
a bubble but a feather
through
so much wind
that
I have lost from a canary wing
I’m
the dashed lines of a rain not inclined to fall out of your sight
I
am gone from myself like the wave on a beach
As
wave upon wave of the sea
I
am falling upon myself
কীভাবে পেরিয়ে যাব ওই আপেল
যে শহর কিছুই বলেনি
ফ্যানা না পালক
তীব্র বাতাসের ভেতর
ক্যানারি পাখির ডানা থেকে হারিয়ে ফেলেছি
তোমার দৃষ্টিরেখা থেকে পাছে পড়ে যাই
বৃষ্টির সোজা সোজা ডট ডট লাইন হয়ে
খুলে ফেলছি আমাকে
যেভাবে তীর থেকে ঢেউ চলে যায়
সাগরের পরপর ঢেউ
নিজের ওপর পড়ে যাচ্ছি এভাবে
#
* # *
You
should try hard in this hide-and-seek
and
run like a dog after other dreams
Black
and white films are out of fashion
you’re
no longer the actor in whose eyes girls tore their blouse
you’re
no longer the poet…
I
wish a girl would whisper quietly in my ear
to
bring out the big man dreaming himself in me on a date
I
wish she would come from the front and… from behind
এই লুকোচুরি খেলার ভেতর একবার কষ্ট করে এসো
স্বপ্নের জন্য যে ইঁদুরদৌড়
যেভাবে মুছে গ্যালো সাদাকালো সিনেমা
তোমার নায়কজন্ম আর নেই
যার চোখে তরুণী আঁচল ভিজে যেত
আর তুমি সেই কবি নও...
আমি তো ভাবছি কানে কানে ঐ মেয়েটার ফিসফাস
ভাবছি দেখা করার আগে
একটা দীর্ঘ স্বপ্ন বার করে আনবে
আমার ভেতর থেকে
আর ভাবছি সামনে থেকে আসবে... কোনও আড়াল থেকে
#
* # *
I arrived late for a lifetime
like all the benches in the park
that were installed for the falling of leaves
I’m sick of all this
which road’s pebble broke this window?
Who is the one over my hair who left?
They put a night on day and say
yesterday left, today passed away, what do you do
tomorrow?
Sometimes I have died a thousand men
Sometimes I have torn God apart
I’ve lost you in your own very eyes
like the neon death of
MIRROR MAN of Armani Street
MIRROR MA
of A ma i treet
MI ROR
MA o
man eet
MI OR MA ma et
I OR A ma t
I O A
ma t
I O A m
I
zzz
zapped out…
আসলে এ জন্মেরই মতো দেরী হ’ল আমার
যেন পার্কের সবগুলি বেঞ্চ
পাতা ঝরার জন্যই যাদের ওখানে ফিট করা
এখন অসহ্য লাগছে সব
কোন রাস্তার পাথর জানলার কাচ ভেঙে দিল?
কে আমার চুল ছুঁয়ে ফিরে গ্যাছে?
দিনটার ওপর তোমরা একটা করে রাত চাপাও
আর বলো
গতকাল চলে গ্যাছে, আজও তো ফুরল, আগামীকাল কী করছো?
কতবার হাজার লোকের মরণ একাই মরেছি আমি
ফের ঈশ্বর ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেছি
তোমার চোখের ভেতর তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি
নিওন নিভতে নিভতে যেভাবে
আমানি
স্ট্রীটের আয়নাবিক্রেতা
আমানি ট্রীটের আ নাবিক্রে
আমান টের আ নাবি
আমা টের আ নাবি
আমা টের আ বি
আমা টের বি
আমা র
বি
আমা র
ম-ম-ম-মুছে
যায়...
#
* # *
Water has brought a mirror to watch
the sound of my skin and the alleys
that open out a window on my brow
Gossip dropped in on a sitting
of the women of the alley whose doors had sunset
and gave autumn away to the branches
simply to take you away from me
I have not trampled the yellow of all the leaves
to ask your forgiveness
The pomegranate that was shelved on the branch
never went hunting for suitors
they put a guitar in my hand and a rendezvous for never
they strolled around in my eyes
snatched all pictures in the mirror
and never noticed this branch doesn’t give a stop to the
sky
জলের ওই আয়নায় দেখা যায়
আমার চামড়ার শব্দ ও সুঁড়িপথ
এভাবে মাথার ভেতর একটা জানলা খুলে যায়
গুজব এসে বসতে চায় ওখানে
সুঁড়িপথ ধরে চলে যাওয়া যে মেয়েদের দরজায় সূর্যাস্ত
আর হেমন্ত ফিরিয়ে দিচ্ছে ডালপালায়
স্রেফ আমার কাছ থেকে তোমায় কেড়ে নেবে বলে
তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে চাইতে
পাতাগুলোর সবটুকু হলদে ভাব আমি কুড়মুড় করে মাড়িয়ে ফেলিনি
ওই ডালপালায় লুকনো ডালিম
কখনো ওভাবে প্রেমিক খুঁজতে চায়নি
আমার হাতে একটা গিটার ধরিয়ে দিয়েছে
যেন আর কখনো দেখাই হবে না
আমার চোখের চারপাশে পায়চারী করে
আর আয়না দিয়ে ছবি তুলে যায়
কখনো লক্ষ করেনি যে এই শাখা আকাশকে থামাতে পারে না
অনুসৃজন : নীলাব্জ চক্রবর্তী
Ø
আবদোলরেজ়ায়েই-এর আরও কিছু
কবিতার অনুবাদ
(বাক্ ৭৪; অন্য ভাষার কবিতা; অক্টোবর, ২০১৩)
Ø
আবদোলরেজ়ায়েই-এর সাক্ষাৎকার
(১ম-৫ম পর্ব; বাক্ ৭৯-৮৩; মে-সেপ্টেম্বর, ২০১৪; সাক্ষাৎকার বিভাগ)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment